সময়ের অগ্রগতির সাথে-সাথে যুগ ও এগিয়ে যাচ্ছে। এর সাথে সাথে এসেছে মানুষেরও জীবন যাত্রার আমূল পরিবর্তন।এখন মানুষের ব্যবসা বাণিজ্য এবং চাকরির ক্ষেত্রেও এসেছে পরিবর্তন। ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার এর জন্য মার্কেকেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কথায় আছে " প্রচারেই প্রসার "। হ্যাঁ ঠিক তাই ,যেকোনো পণ্য ক্রয় এবং বিক্রয় এর জন্য মার্কেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি ?
ডিজিটাল মার্কেটিং , এক কথায় বলতে গেলে,যেকোনো পণ্য অথবা বস্তু ক্রয় অথবা বিক্রয় এর জন্য যদি আমরা আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার করি মূলত সেটাই ডিজিটাল মার্কেটিং।যেমন ধরুন মানুষ এখন Facebook , Instagram , হোয়াটস্যাপ , youtube , ইত্যাদি এই সামাজিক যোগাযোগ এর অ্যাপ গুলো বেশি ব্যবহার করে।এখন এই সেক্টরগুলোতে যেকোনো বিজ্ঞাপন দিলে কম সময়ে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাবে। যা খবরের কাগজ বা টিভিতে বিজ্ঞাপন দেওয়া থেকে অনেক কম খরচ এবং ঝামেলা কম।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর যাত্রা শুরু হয় আজ থেকে ৩০ বছর আগে এবং বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় আমেরিকান একজন বিপণন অধ্যাপক "ফিলিপ কোটলার"এর জনক।১৯৮০ সালের দিকে অধ্যাপক ফিলিপ কোটলার এর একটি প্রথম সংজ্ঞা দেন যে,"বিপণন হলো বিনিময় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সন্তুষ্ট চাহিদা এবং চাওয়ার মানুষের কার্যকলাপ।১৯৯০ সালের দিকে কয়েকশো ওয়েব লিস্টিং এর মাধ্যমে আর্চির যাত্রা শুরু হয় যা ছিল বিষের প্রথম সার্চ ইঞ্জিন।এর মাধ্যমেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর পথচলা শুরু হয়।যা এখনো চলমান।
কেন দরকার ডিজিটাল মার্কেটিং বা এর গুরুত্ব কি ?
আমাদের দৈনন্দিন জীবন ব্যবস্থা আধুনিক সরঞ্জামাদির সাথে অতোপ্রতো ভাবে জড়িত।যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের বর্তমান কেনা কাটারও ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে।এখন একজন ক্রেতা একটি পণ্য কেনার আগে অনলাইনে আগে ভালোভাবে যাচাই বাছাই করে নেই।যেমন ধরেন আমরা যদি দোকানে কোনো পণ্য কিনতে যাই তাহলে আমরা কয়েকটি দোকান ঘুরে যাচাই বাছাই করে তারপরে পণ্যটি ক্রয় করি।কিন্তু এই একই কাজটি যদি আমরা ঘরে বসে আমাদের হাতের android ফোনটি দিয়েই করার সুযোগ পাই তাহলে তো অবশ্যই আমরা সব সময় দোকানে যাবো না,তাই না ?হা ঠিক তাই,বর্তমানে মানুষ ঘরে বসে একটি পণ্য কেনার আগে সেই পণ্যটি যাচাই বাছাই করে যেমন এই পণ্যটি কোথায় কোথায় পাওয়া যাচ্ছে,কে কত দামে দিচ্ছে,পণ্যটির গুণগত মান কেমন,কার কাছে থেকে কিনলে কি সুবিধা পাবো ইত্যাদি যাচাই করার পরে পণ্যটি ক্রয় করে।আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বর্তমানে মানুষের কাছে facebook , whatsapp , youtube খুবই জনপ্রিয়।তাই এই মাধ্যমগুলোতে কোনো কিছুর বিজ্ঞাপন দিলে তা খুবই অল্প সময়ে এবং কম খরচে অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছায়।ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ের জন্য সহজ লভ্য ও সুবিধা হওয়ার কারণে বর্তমানে এর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।তাই দিন দিন এর উপরে মানুষ বেশি নির্ভর হয়ে পড়ছে। তাই এর দরকার এবং গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝতেই পারছেন?
ডিজিটাল মার্কেটিং এর শাখা প্রশাখা
এখানে আমরা ৮টি মাধ্যম নেয়া আলোচনা করবো যা আপনার ব্যাবসার ফলপ্রসূ পরিবর্তন এনে দিতে পারবে :-
সার্চ- ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন ( SEO )
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ( SEM )
কন্টেন্ট মার্কেটিং
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ( SMM )
ডিজিটাল ডিসপ্লে মার্কেটিং
মোবাইল মার্কেটিং
ই-মেইল মার্কেটিং
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
এই ৮টি মাধ্যম আপনার ব্যাবসার বৈপ্লবিক পরিবর্তন এর জন্য যথেষ্ট। এগুলো নিয়ে কিছু স্বল্প আলোচনা করবো। যাতে আমাদের বুজতে সুবিধা হয়।
সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন ( SEO )
এটি হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যেটিকে ব্যবহার করে যেকোনো ওয়েবসাইটকে বিনামূল্যে পৌঁছে দেওয়া যায়।যেমন ধরেন গুগলে কোনো কিছু লিখে সার্চ দিলে অনেকগুলো কি-ওয়ার্ড আসে,সেখানে যেই কীওয়ার্ডটি সবার উপরে থাকে মূলত সেটাই বেশি মানুষ দেখে।গুগলকে টাকা দিয়ে এটি করতে হয়।এই পক্রিয়াটাই হচ্ছে মূলত সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর কাজ যাকে সংক্ষেপে SEO বলে।ব্যাবসার প্রসার এর জন্য এর গুরুত্ব বলে শেষ করা যাবে না।
এই SEO সাধারণত আবার ৪ ধরনের হয় -
On page SEO
Off - page SEO
Technical SEO
Local SEO
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ( SEM )
সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন দেওয়ার পদ্ধতি গুলোকে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং বলে।একে সংক্ষেপে SEM বলে।সারা বিশ্বের নামি দামি ব্র্যান্ড সহ আরো অনেক ছোট বড়ো কোম্পানি গুলো তাদের ওয়েবসাইটের ভিজিটর এবং সেলস বাড়ানোর জন্য মূলত এই পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে।
আমরা অনেকে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এবং সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং অর্থাৎ SEO এবং SEM এর মধ্যে গুলিয়ে ফেলি আবার অনেকে একে একই বলে মনে করি।কিন্তু আসলে অনেকটা মিল থাকলেও এদের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে।সোজা কথা বলতে গেলে,সার্চ ইঞ্জিন গুলোকে যেমন : গুগল,ইয়াহু,বিং ইত্যাদিকে টাকা প্রদান করে ওয়েবসাইট এগুলোকে প্রথম সারিতে আনার প্রক্রিয়া হলো সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং অর্থাৎ SEM। এবং সার্চ ইঞ্জিনে অর্গানিক উপায়ে অর্থাৎ কোনো রকম টাকা ছাড়া সার্চ ইঞ্জিনের অপটিমাইজড করার প্রক্রিয়া গুলো মেনে চলে প্রথম সারিতে আনার প্রক্রিয়াকে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন অর্থাৎ SEO বলে।
কনটেন্ট মার্কেটিং
যেকোনো একটি বিষয় বস্তু নিয়ে নিজের বুদ্ধি মত্তা দিয়ে উপস্থাপনা করাই মূলত কনটেন্ট।সাধারণত অনলাইনে ক্লায়েন্টকে আকর্ষিত করার জন্য যেকোনো পণ্যের গুণ গত মান বা তা সম্পর্কে যেকোনো বিস্তর এবং গঠন মূলক আলোচনা করা হচ্ছে কনটেন্ট মার্কেটিং।এটিতে ছবি,
অ্যানিমেশন,ভিডিও বা আরো অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।এটি সংবাদ এবং সংবাদ প্রতিবেদন এর উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে।অনলাইনে অডিয়েন্সকে একটি লাভজনক কাস্টমারে পরিণীত করাই হচ্ছে কনটেন্ট মার্কেটিং এর মূল কাজ।আমরা অনেকে মনে করি এটি হয়ত ইদানীং শুরু হয়েছে,কিন্তু আসলে তা না,এর যাত্রা সেই ১৭৩২ সালে বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিং নামে এক মার্কিন শুরু করলেও এর জনপ্রিয়তা বেড়েছে বর্তমানে।দিন দিন এর চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েই চলেছে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ( SMM )
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া মানুষের যোগাযোগের সবচেয়ে বড়ো মাধ্যম।বর্তমানে সারা বিশ্বে বেশিরভাগ মানুষ ফেইসবুক,টুইটার,হোয়াটসঅ্যাপ,ইউটিউব,লিংডিন ইত্যাদি এর অতোপ্রতো ভাবে জড়িত।এই সোশ্যাল মিডিয়ায় যেকোনো কিছু আপলোড করলে তা মুহূর্তেই মানুষের মাঝে ছড়িয়ে যায়।এই সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমগুলোতে যেকোনো পণ্যের বিজ্ঞাপন খুব অল্প টাকায় বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।এর মাধ্যমে অনেক সুবিধা পাওয়া যায় তার মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য হলো :
# একজন বিক্রেতার সাথে ক্রেতার খুব সহজ ভাবে সম্পর্ক স্থাপন হয়ে যায়।
# এর দ্বারা ছোট বড়ো সকল ধরনের প্রোডাক্ট খুব সহজেই প্রচার করা যায়।
# এই প্লাটফর্মগুলোতে বিজ্ঞাপন দেওয়া যায় খুব কম খরচে।
# এখানে যেকোনো ব্যক্তি বিশেষকে লক্ষ্য করে বিজ্ঞাপন প্রচার করা যায়।যেটা physical marketing এর ক্ষেত্রে করা যায় না।
# সহজেই ক্রেতা পাওয়া যায়।
# দেশে সহ বিদেশেও খুব সহজেই বিজ্ঞাপন প্রচার করা যায়।
উপরিউক্ত সুবিধাগুলো সংক্ষিপ্ত আকারে আলোচনা করলাম।বাস্তবে এর সুবিধা গুলো আরো ব্যাপক।
ডিজিটাল ডিসপ্লে মার্কেটিং
ডিজিটাল ডিসপ্লে মার্কেটিং ,ডিসপ্লে বিজ্ঞাপন নামেও পরিচিত। আমরা রাস্তার পাশে অথবা অনেক বিল্ডিংয়ে পণ্য ও পরিষেবার প্রচার এর জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যানার,টেক্সট,ভিডিও অথবা অডিও ক্লিপ ব্যবহার করে,তাই মূলত ডিজিটাল ডিসপ্লে মার্কেটিং।এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও ব্যবহার হয়ে থাকে।এগুলো একটু ব্যয়বহুল হলেও এগুলো মানুষকে আকৃষ্ট করতে বেশ কাজে দেয়।
মোবাইল মার্কেটিং
বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় সবার হাতেই এন্ড্রোয়েড ফোন রয়েছে।তাই এই মোবাইল কেন্দ্রিক মার্কেটিং এখন খুব জনপ্রিয়।বিভিন্ন ধরনের এসএমএস,এমএমএস এর মাধ্যমে কোনো কিছু পাঠানোর জন্য এর ভূমিকা ব্যাপক।এটি নির্দিষ্ট যেকোনো গোষ্ঠীর সাথে খুব সহজেই সংযোগ স্থাপন করা যায়।এটি টেলিভিশন এবং রেডিওতে প্রচলিত মার্কেটিং এরচেয়ে মোবাইল মার্কেটিং অনেক বেশি সাশ্রয়ী।
ই-মেইল মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে সহজলভ্য ও আরেকটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হলো ই-মেইল মার্কেটিং।এটিএকটি শক্তিশালী মার্কেটিং চ্যানেল।এই সেক্টরে ইমেইলকে ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের বার্তা অথবা যেকোনো নিউজলেটার পাঠানো যায়।একটি নির্দিষ্ট দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য এর ব্যবহার করা যায়।অনেক দ্রুত সময়ে অনেক লোকের কাছে এবং সাশ্রয়ী হওয়ায় এর প্রয়োজনীয়তা ব্যাপক।এতে অন্যান্য ডিজিটাল চ্যানেল এর তুলনায় বিনিয়োগে উঁচু রিটার্ন রয়েছে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
এটি এমন একধরণের মার্কেটিং যার মাধ্যমে আমরা খুব সহজে যেকোনো কোম্পানি অথবা যেকোনো প্রোডাক্ট অনলাইন এর মাধ্যমে খুব সহজেই প্রমোট করতে পারি এবং এর বিনিময়ে কমিশনও লাভ করা যায়।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ
মানুষের জীবন ধারার প্রতিটি বিষয়ই যুগের উপর নির্ভর।যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে ব্যাবসার ধরণ ও পরিবর্তন হচ্ছে।ঠিক তেমন মার্কেটিং এ ও হচ্ছে আমূল পরিবর্তন।মানুষ যেমন এখন প্রযুক্তি নির্ভর ঠিক তেমনি ডিজিটাল মার্কেটিং ও প্রযুক্তি নির্ভর।ডিজিটাল মার্কেটিং সাশ্রয়ী এবং সবচেয়ে কম সময়ে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানোর কারণে এর প্রয়োজনীয়তা ব্যাপক।এই মাধ্যমকে ব্যবহার করে একজন ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি মানের ব্যাবসায়ীও তার যেকোনো পণ্যের প্রচার এবং জনপ্রিয়তা বাড়াতে পারে খুব সহজে।আবার এক জন ক্রেতাও চায় যাতে সে সব কিছু হাতের নাগালে পায়।তার জন্য এই মাধ্যমের জুড়ি নেই।এই মাধ্যমে একজন ক্রেতার সাথে বিক্রেতার খুব ভালো সম্পর্ক তৈরি করা সম্ভব।এই মাধ্যমে ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়েই লাভবান হয়।তার থেকে বড় কথা হলো প্রথাগত বিজ্ঞাপন এর মাধ্যম গুলো অনেক ব্যয়বহুল এবং ওই ধরনের বিজ্ঞাপন থেকে একজন ক্রেতা তার পণ্য সম্পর্কে পরিপূর্ণ তথ্য পায় না কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং একদিকে যেমন সাশ্রয়ী ঠিক তেমনি একজন ক্রেতা চাইলেই তার পণ্যের গুণগত মান সম্পর্কে পরিপূর্ণ যাচাই বাছাই করে তার পরে পণ্যটি ক্রয় করতে পারে।সর্বোপরি বলা যায় বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং জনপ্রিয় এবং দিন দিন এর জনপ্রিয়তা আরো বাড়ছে।তাই নিঃসন্দেহে ভবিষ্যৎ এ এর প্রয়োজনীয়তা বাড়বে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি যুগোপযোগী আয়ের মাধ্যম?
আসলে বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং যেভাবে জনপ্রিয় এবং তা দিন দিন আরো যেভাবে বাড়ছে তা দেখে আমরা অনায়াসে বলতে পারি এটি যুগোপযোগী আয়ের মাধ্যম।কারণ দিন দিন এর প্রয়োজনীয়তা বাড়ার সাথে সাথে এর থেকে আয়েরও নানা ধরনের উপক্রম তৈরি হচ্ছে।সোজা কথায় বলা যায়,যেই জিনিস যুগের সাথে সাথে তাল মিলে তার প্রয়োজনীয়তা বাড়তে থাকে তার থেকে আয় কখনো কমে না বরং বাড়ে।
ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কিছু ভিন্নমত
অনলাইন এ প্রতারক এর সংখ্যা একটু বেশিই।চটকদার বিজ্ঞাপন এর প্রতারণা থেকে বেশী সাবধানতা বজায় রাখা উচিত আর একটু সময় সাপেক্ষ ছাড়া আর তেমন কোনো উল্লেখ্য করার মতো খারাপ দিক নেই বললেই চলে।
পরিশেষে কিছু কোথায় আশাযাক।ডিজিটাল মার্কেটিং এর খারাপ দিক আমাদের উল্লেখ্য বিষয় না।কারণ প্রযুক্তির যেমন ভালো দিক বিদ্যমান ঠিক তেমনি কিছু মন্দ দিক ও বিদ্যমান।এটি নির্ভর করে একান্ত আমাদের নিজেদের উপরে।তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে,বর্তমান সময় এবং ভবিষ্যৎ এর জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সেক্টর।কারণ এক কথায় বলা যায়,যে জিনিস প্রযুক্তি নির্ভর তার ক্ষয় নেই অর্থাৎ এর ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো সন্দিহান নেই।তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় প্রযুক্তির যত প্রসার হবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ও প্রসার ততো বাড়বে এবং দিনদিন ডিজিটাল মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা এবং প্রয়োজনীয়তা আরো বেড়েই যাবে।
আসন সংখ্যার উপর ভিত্তি করে ইউ ওয়াই ল্যাবের সকল অনলাইন কোর্সে পাবেন ১০০% স্কলারশিপ! আসন নিশ্চিত করতে রেজিঃ করুন এখনই।