অ্যানিমেশন শিখে ক্যারিয়ার গড়ে তোলার উপায়

Created by UY LAB in Video Editing 19 Oct 2023
Share

মানুষের কাছে কার্টুন বা অ্যানিমেশন খুবই জনপ্রিয় বিষয়।বেশিরভাগ শিশুরা হলেও বুড়ো থেকে তরুণ প্রজন্মরাও এই অ্যানিমেশন বা কার্টুন পছন্দ করে।আজকে আমরা এই অ্যানিমেশন এর খুঁটিনাটি নানা সম্পর্কে জানাবো।

অ্যানিমেশন কী? 

যদি এক কোথায় বলতে যাই তাহলে কোনো স্থির চিত্র বা ছবিকে জীবন্ত করে তা শিক্ষণীয় বিনোদন এবং উপভোগ্য করে তুলার প্রক্রিয়াই মূলত হচ্ছে অ্যানিমেশন।১৯০৭ সালে ফরাসি শিল্পী এমাইল কোহল জাপন দে, ফেন্টাসি দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন।এটি প্রথম অ্যানিমেটেড ফিল্ম হিসাবে গণ্য করা হলেও পরবর্তীতে এটিকেই ব্যবহার করে ১৯০৮ সালে প্রচলিত Animation পদ্ধতি হিসাবে আবার যাত্রা শুরু করে। 

আমাদের অনেকেরই ধারণা Animation মানেই হচ্ছে কার্টুন।কিন্তু আসলে বিষয়টা এরকম হলেও আবার অনেকটা এরকম ও না !! আসলে কার্টুন হচ্ছে একটি প্রোডাক্ট ! আর এই প্রোডাক্টটি তৈরি করার জন্য পুরো প্রক্রিয়াটাই হচ্ছে অ্যানিমেশন !।আর এই প্রক্রিয়া সম্পাদন কারীকে বলে এনিমেটর। 

এনিমেশন এর প্রকারভেদ 

আপনি আপনার কাজের চাহিদার ধরণ অনুযায়ী অ্যানিমেশনরও ধরণ পাল্টাতে পারেন।অর্থাৎ Animation এর কয়েকটি প্রকারভেদ রয়েছে,যেমন-

2D অ্যানিমেশন : সহজ ভাষায় যদি বুঝতে যাই তাহলে,কোনো ক্যারেক্টারের প্রস্থ এবং উচ্চতা যদি শুধু এক পাশ থেকে দেখা যায় তাই মূলত 2D অ্যানিমেশন। যেমন -"টম এন্ড জেরি"কার্টুনটা তো অনেকেই দেখেছি।এই কার্টুনে খেয়াল করলে আপনি দেখবেন এখানে টম অথবা জেরি অথবা দুই জনকেই একসাথে দেখালেও ওদের শরীর এর অংশ এক পাশে থেকেই দেখা যাচ্ছে এটাই হচ্ছে 2D এর কাজ। 

3D অ্যানিমেশন : এই এনিমেশনটি 2d অ্যানিমেশন এর উলটো।যখন আপনি কোনো ক্যারেকটার এর সবকিছু অর্থাৎ মুভমেন্ট থেকে শুরু করে টেকনিক্যাল এবং কম্পোজিশন খুবই সুন্দর ও নিখুঁত ভাবে ফুটে তোলা হয় তাই মূলত হচ্ছে 3D Animation।এটি সম্পূর্ণরূপে সফটওয়্যার এর উপরে নির্ভরশীল।এই ধরনের অ্যানিমেশন বর্তমানে অনেক জনপ্রিয়। 

হোয়াইট বোর্ড এনিমেশন : এই অ্যানিমেশনটি অনেকটা অনেকটা স্ক্র্যাচ এর মতো।এই ধরনের অ্যানিমেশন মানুষের ব্রেনে অনেক দিন থাকে,যার কারণে বিজ্ঞাপনের জন্য এই অ্যানিমেশনটি ব্যবহার করা হয়।

মোশন গ্রাফিক্স : যেকোনো বস্তুর যেকোনো ধরনের অঙ্গভঙ্গি অথবা কার্যক্রমকে ডিজিটাল মডেলের অ্যানিমেশন রূপ দেওয়াই হলো মোশন গ্রাফিক্স এর কাজ।সাধারণত কমার্শিয়াল এবং প্রমোশনাল কাজের জন্য মোশন গ্রাফিক্স সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়।যেমন-টিভি প্রমো,কমার্শিয়াল অ্যাপ্লিকেশন,অ্যানিমেটেড লোগো -এসবই মোশন animation এর কাজ। 

স্টপ মোশন : যখন একটি ফিল্ম তৈরির উদ্দেশ্যে একটি নির্জীব বস্তু গুলোকে তাদের নিজস্ব ভাবে চলতে দেখানোর প্রক্রিয়ায় হলো মোশন গ্রাফিক্স।শিশুদের সাথে স্টিম ধারণার বিকাশের জন্য এই গ্রাফিক্স বেশ কার্যকরী।গাম্বি,ওয়ালেস এবং কোরালাইন -হচ্ছে স্টপ মোশন গ্রাফিক্স এর উদাহরণ।

টাইপোগ্রাফি অ্যানিমেশন : টাইপোগ্রাফি এনিমেশনটি,কাইনেটিক টাইপোগ্রাফি নামেও পরিচিত।ধরে নিন আপনি কোনো কিছুর নাম লিখবেন,এখন নামটি লিখতে গিয়ে আপনি নামের প্রথম অক্ষরটি অথবা মাঝের কোনো অক্ষরটি আকারে বড় অথবা ছোট অথবা ভিন্ন কালার দিয়ে Animation এর মাধ্যমে প্রকাশ করে হচ্ছে এই অ্যানিমেশন এর মাধ্যমে। এত ১৯৬০ দশকে উদ্ভাবন হয়েছিল,তখন থেকে বর্তমান পর্যন্ত এর জনপ্রিয়তা তুঙ্গেই আছে।

ইনফোগ্রাফিক এনিমেশন : ইনফোগ্রাফিক এনিমেশন হলো এক ধরনের ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট যা একটি গতিশীল এবং আকর্ষক ভিডিও তৈরি করে।আকর্ষণীয় ডিজাইন তৈরি করতে এই Animation ব্যবহার করা হয়,যা পাঠকের মন জয় করতে খুব সাহায্য করে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছানো যায়।একে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট এবং প্রেজেন্টেশনে বেশি ব্যবহার করা হয়।

হ্যান্ডক্রাফট অ্যানিমেশন : এটি একটি ঐতিহ্যগত Animation নামেও পরিচিত,ফ্রেম দ্বারা অ্যানিমেশন ফ্রেম তৈরির শিল্প।এতে প্রতিটি ফ্রেম হাতে আঁকা বা কারুকাজ করা জড়িত,যা একটি শ্রম নিবিড় ও অত্যন্ত সৃজনশীল প্রক্রিয়া। 

অ্যানিমেশন তৈরির সফটওয়্যার

এনিমেশন তৈরির জন্য প্রধান হচ্ছে সফটওয়্যার।এই সফটওয়্যার পেইড অথবা ফ্রি দুইটাই হতে পারে।যদিও ভালো সফটওয়্যার গুলো বেশিরভাগ পেইড সফটওয়্যার।জানার জন্য animation এর কিছু সফটওয়্যার এর নাম এবং কাজ আলোচনা করলাম-

Visme : এটি একটি ক্লাউড-ভিত্তিক ডিজাইন বা অ্যানিমেশন টুল যা ব্যবহারকারীদের ইন্টারেক্টিভ উপস্থাপনা,ইনফোগ্রাফিক্স এবং অ্যানিমেশন তৈরি করতে দেয়। 

Adobe Animate : এটি একটি 2D অ্যানিমেশন সফটওয়্যার।এটি অভিব্যক্তিপূর্ণ animation এবং ইন্টারেকটিভ সামগ্রী তৈরির জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার।এই সফটওয়্যারটি পেশাদার এনিমেটর,ফিচার ফিল্ম নির্মাতারা এবং কার্টুনিস্টরা বেশি ব্যবহার করে। 

Pencil 2D : এই সফটওয়্যারটি বিনামূল্যের এবং ওপেন সোর্স 2D এনিমেশন সফটওয়্যার।যাদের আঁকা আঁকি খুবই পছন্দ তারা এই সফটওয়্যারটি বেশি ব্যবহার করে। 

Blender : ব্লেন্ডার হলো বিনামূল্যের ওপেন সোর্স 3D সফটওয়্যার।এটি মডেলিং,রেন্ডারিং,ভিডিও গেম,অ্যানিমেশন,থ্রিডি প্রজেক্ট তৈরি ইত্যাদি কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

Biteable : Biteable হলো একটি ভিডিও animation সফটওয়্যার যা ব্যবহারকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া,মার্কেটিং এবং অন্যান্য উদ্দেশ্যে অ্যানিমেটেড ভিডিও তৈরি করতে দেয়। 

Toon Boom Harmony : এটি একটি পেশাদার গ্রেডের 2D এনিমেশন সফটওয়্যার যা animation শিল্পে টিভি শো,চলচ্চিত্র,এবং এনিমেশন তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়।এটি চরিত্রের অ্যানিমেশন যা বিশেষ প্রভাব এবং দৃশ্য রচনার জন্য বিস্তৃত সরঞ্জাম সরবরাহ করে।এর দ্বারা কাট-আউট অ্যানিমেশন,কণা প্রভাব,কম্পোজিটিং এবং ঐতিহ্যগত ফ্রেম-বাই-ফ্রেম অ্যানিমেশন এর কাজ করা যায়। 

Dragonframe : এই সফটওয়্যারটি প্রাথমিকভাবে স্টপ মোশন অ্যানিমেশনের কাজের জন্য ব্যাবরিত হয়।এটি স্টপ-মোশন ফ্রেম ক্যাপচার এবং সংঘটিত করার জন্য সুনির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবহারকারী বান্ধব ইন্টারফেস প্রদান করে।ফ্রেম-বাই-ফ্রেম নিয়ন্ত্রণের জন্য এটি স্টপ মোশন এনিমেটরদের কাছে খুব প্রিয়।

Cinema 4D : এটি একটি 3D মডেলিং এবং animation সফটওয়্যার যা মোশন গ্রাফিক্স শিল্পী এবং ডিজাইনারদের কাছে জনপ্রিয়।গতিশীল অ্যানিমেশন,ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট তৈরি করার জন্য এটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। 

Autodesk Maya : এটি একটি প্রফেশনাল 3D অ্যানিমেশন সফটওয়্যার যা ফিল্ম এবং গেমিং শিল্পে ব্যাপকভাবে ব্যাবরিত হয়।স্বনামধন্য ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি,অ্যানিমেশন স্টুডিও এবং বিভিন্ন ডিজাইন সংস্থায় এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

কীভাবে একটি এনিমেশন তৈরি করবো 

একটি animation তৈরি করার জন্য আপনাকে ধৈর্য সহকারে কিছু জিনিস পরিকল্পনা মাফিক আগাতে হবে।এর জন্য আপনাকে সংক্ষিপ্ত পরিসরে একটি গাইড লাইন দেওয়ার চেষ্টা করছি-

এনিমেশন তৈরির প্রথম ধাপটিই হচ্ছে একটি " গল্প " তৈরি করা।কারণ একটি গল্প যদি সুন্দর না হয় তাহলে মানুষ তা উপভোগ করবে না তাই গল্প নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।চেষ্টা করবেন মানুষকে একটি পজেটিভ ম্যাসেজ দেওয়ার জন্য যা থেকে মানুষ কিছু শিখতে পারবে। 

 একটা গল্প নির্ধারণ করার পরেই আসে হচ্ছে " স্ক্রিপ্ট "। আপনি যদি অ্যানিমেশন বানানোর প্রক্রিয়াকে পার্সেন্টিজে ভাগ করেন তাহলে স্ক্রিপ্ট সাজানোকেই ৫৫% ধরতে পারেন।স্ক্রিপ্টটি এমনভাবে সাজাবেন যাতে গল্পের শুরু এবং শেষটা সুন্দর হয় এবং ডায়ালগ গুলো যাতে শ্রুতিমধুর হয়।

স্ক্রিপ্ট বানানো হলে এরপরে "কনসেপ্ট আর্ট " অর্থাৎ ছবির স্টাইল এবং প্যাটার্ন তৈরি করুন।কারণ এর মাধ্যমে কোন কোন দৃশ্যে কোন কোন চরিত্রগুলো থাকবে,ব্যাকগ্রাউন্ড এর জন্য কিছু প্রয়োজন আছে কিনা,তা ক্লিয়ার হয়ে যাবে। 

আচ্ছা এখন যেই ধাপটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তাহলো একটি "স্টোরি বোর্ড" সাজানো।সাধারণত আমরা যেকোনো মুভি,কার্টুন অথবা যে বিজ্ঞাপন গুলো দেখি সেখানে চরিত গুলোর শারীরিক সব মুভমেন্ট,চরিত্র গুলোর কার সাথে কি সম্পর্ক তা সব এই পয়েন্টে সিলেকশন হয়ে যায়।এটিকে একটি অ্যানিমেশনের প্রাণ বলা হয়ে থাকে। আপনার যেকোনো আইডিয়া বিস্তর ভাবে এখানে তুলে ধরতে পারেন। 

অ্যানিমেশন কাজ শুরুর আগেই আরেকটি প্রধান অংশ হলো "প্রিভিসি" প্রি-ভিজুয়ালাইজেশন।animation আগের ধাপগুলো যেগুলো আলোচনা করলাম সেগুলোর মধ্যে কোনো ভুল থাকলে এই ধাপ হচ্ছে সংশোধন করার শেষ ধাপ।কারণ অ্যানিমেশন বানানোর এই ধাপে একজন এনিমেটর ছবিগুলোকে জীবন প্রদান করবে। 

আপনারা যদি ডিজনি অ্যানিমেশন গুলো খেয়াল করেন তাহলে দেখতে পাবেন সাধন একটি চুল নড়ানোর জন্যও তারা ছবির পর ছবি একে যান।তাই এখানে একজন এনিমেটর ফ্রি-ফ্রেমগুলো এঁকে অর্থাৎ প্রতিটা কাজের মূল চরিত্রগুলো এঁকে সূক্ষ্মভাবে একটার সাথে আরেকটি জুড়ে দিতে হবে।এবং এর সাথে একজন চরিত্রের মুখের ভাষা মানে এক্সপ্রেশন এবং তার চার পাশের ব্যাক রাউন্ড যাকে টার্ন অ্যারাউন্ড বলে সেগুলোর জন্যও আলাদা আলাদা ছবি আঁকতে হবে। 

এরপরে অ্যানিমেশন প্রস্তুত হয়ে গেলে প্রতিটি ক্ষেত্রে তার লাইটিং এবং কালার গ্রেডিং গুলো কেমন হবে এবং কোথায় কোন রং প্রয়োগ করতে হবে তা নির্ভুল ভাবে শেষ করতে হবে। সর্ব শেষে আপনি "সাউন্ড সিস্টেম " টি সাজিয়ে প্রয়োগ করবেন।আপনি চাইলে ভয়েস ওভার এবং অথবা প্রয়োজন অনুযায়ী মিউজিক ট্র্যাক ব্যবহার করতে পারেন।অনেক মিউজিক ট্র্যাক আপনি অনলাইন বিনামূল্যে পেয়ে যাবেন। উপরের দিক নির্দেশনা গুলো মেনে তা কাজে প্রয়োগ করলে আশা করি আপনি একটি অ্যানিমেশন সঠিক ভাবে বানাতে পারবেন। 

একজন সফল এনিমেটর কেন হবো এবং এনিমেটর হতে গেলে কতদিন সময় লাগতে পারে ?

আচ্ছা প্রথমে আসি আপনি এনিমেটর কেন হবেন।দেখুন কেউ যদি কোনো কর্মে ঢুকতে চায় তাহলে সময়ের সাথে যেই সেক্টর এর ডিমান্ড থাকবে ব্যক্তিটি সেই দিকেই ছুটবে,এটাই স্বাভাবিক। বর্তমানে এনিমেশন এর রয়েছে প্রচুর ডিমান্ড।জরিপে দেখা যায় একজন সফল এনিমেটর বছরে ৫২,০০০ ডলার থেকে ১,২৫,০০০ ডলার আয় করেন অর্থাৎ যা ঘণ্টায় ৩৮.৯১ ডলার।আসলে আয় টা নির্ভর করে জায়গা এবং যোগ্যতা ভেদে।বর্তমানে Animation এর চাহিদা ব্যাপক যা দিন দিন আরো ঊর্ধ্বগতির দিকে যাচ্ছে।তাই অ্যানিমেশন আপনার প্রফেশন হিসাবে নির দ্বিধায় বেঁচে নিতে পারেন। 

এখন আসেন একজন এনিমেটর হতে আপনার কত সময় লাগতে পারে এই কথায়।দেখুন এই বিষয়টি নির্ভর করে সম্পূর্ণ আপনার নিজের উপরে অর্থাৎ আপনি নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য কতটা পরিশ্রম করছেন এবং সময় দিচ্ছেন।যেমন, আপনি যদি ওয়ার্ল্ড এর সবচেয়ে ছোট এনিমেটর " আমান রহমান " এর কথা ধরেন তার বয়স মাত্র ১৩,তাহলে এই অল্প বয়সে সে কতটা পরিশ্রম এবং সময় ব্যয় করেছে তা বুঝতেই পারছেন।ঠিক সেই রকমভাবে আপনি কতটা সময় ব্যয় করবেন তা আপনিই ভালো বুজবেন। 

অ্যানিমেশন এবং এনিমেটর এর ভবিষ্যৎ কি?

দেখুন খুব  স্বল্প ভাষায় বুঝতে গেলে,আগে এনিমেশন শুধু বাচ্চাদের খোরাক ছিল কিন্তু বর্তমানে তরুণ,বৃদ্ধ এবং শিশুরাও অ্যানিমেশন পছন্দ করে।যেহেতু অ্যানিমেশন বিনোদনে,বিজ্ঞাপনে এবং আরো অনেক ক্ষেত্রে অ্যানিমেশন এর ব্যবহার দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে।বর্তমানে সারা পৃথিবীতে ১২,৮৭৩,৯১৬ জন যা আরো বাড়ছে।তাই এর ভবিষ্যৎ বিকাশ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।আর অ্যানিমেশন এর ভবিষ্যৎ যেহেতু উজ্জ্বল সেহেতু নির দ্বিধায় বলা যায় একজন এনিমেটর এর ভবিষ্যৎ ও উজ্জ্বল।

যাক,আশাকরি উপরের লিখাগুলো পরে Animation নিয়ে একটু হলেও আপনাদের ধারণা হয়েছে।দেখুন বর্তমানে একজন সফল Anymator এর দেশে এবং দেশের বাইরে চাহিদা এবং আয় রয়েছে ব্যাপক।আপনার মধ্যে যদি ধৈর্য,ইচ্ছা এবং কঠোর পরিশ্রম এর সাথে যদি কোনো ভালো গাইড লাইন থাকে তাহলে আপনিও একজন ভালো মানের এনিমেটর হতে পারবেন।এর জন্য অনেক উঁচু পর্যায়ের ডিগ্রি লাগবে ব্যাপারটি এরকমও না কারণ সারা ওয়ার্ল্ড এর এনিমেটর এর মধ্যে মাত্র ৩২% এর ডিগ্রি আছে আর বাকি ৬৮% ই নিজের চেষ্টায়।তাই আপনিও চাহিলে একজন সফল এনিমেটর হতে পারবেন।তো আর দেরি কেন!! আজ থেকেই শুরু করে দিন একজন সফল অ্যানিমেশন প্রস্তুত কারক হিসাবে আপনার যাত্রা।


Comments (0)

Share

Share this post with others

অনলাইন কোর্সে ১০০% স্কলারশিপের সুযোগ

অনলাইন কোর্সে ১০০% স্কলারশিপের সুযোগ

আসন সংখ্যার উপর ভিত্তি করে ইউ ওয়াই ল্যাবের সকল অনলাইন কোর্সে পাবেন ১০০% স্কলারশিপ! আসন নিশ্চিত করতে রেজিঃ করুন এখনই।